চলে গেলেন আরবি গানের কিংবদন্তী শিল্পী ওয়ারদা

চলে গেলেন আরবি গানের কিংবদন্তী শিল্পী ওয়ারদা

আরবি গানের জগতে কিংবদন্তী শিল্পী ওয়ারদা আলজাজাইরিয়া মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার মিশরের রাজধানী
কায়রোতে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

মিশরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, শুক্রবার পিতৃভূমিতে শেষকৃত্যের জন্য ওয়ারদার মরদেহ বহনকারী বিশেষ বিমান আলজেরিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

লেবাননের ফায়রোজ এবং মিশরের উম্মে কুলসুমের পাশপাশি ওয়ারদাকে আরব বিশ্বের কিংবদন্তী শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের কণ্ঠ যেমন মধুর তেমনি মানুষের মনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী।

আলজেরীয় বাবা আর লেবাননি মায়ের গর্ভে ১৯৩৯ সালে জন্ম নেওয়া আলজেরিয়ার গোলাপ খ্যাত ওয়ারদা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিশরে বসবাস করছিলেন। অসাধারণ গায়কি দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের হাজার হাজার মানুষের মন জয় করেছেন তিনি।

কমপক্ষে পাঁচটি মিশরীয় চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং প্রায় তিনশ’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ওয়ারদা।

খুব কম বয়স থেকেই তিনি গান গাইতে শুরু করেন। তার গান শুনেই সে সময় ফ্রান্সের আরব শিশুরা তার ভক্ত হয়ে গিয়েছিল। ১৯৬২ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর প্রথম আলজেরিয়া সফর করেন ওয়ারদা। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনেও তার ভূমিকা রয়েছে।

এক আলজেরীয়কে বিয়ে করার পর স্বামীর আপত্তিতে দীর্ঘ দশ বছর গানের বাইরে ছিলেন ওয়ারদা। এরপর তিনি আরব শিল্প-সংস্কৃতির তৎকালীন প্রাণকেন্দ্র মিশরে চলে আসেন। সেখানে থেকেই ১৯৭০ এর দশকে প্রকাশিত একটি অ্যালবাম দিয়ে প্রথম আরবজুড়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি।

ওয়ারদার বিশেষ দক্ষতা হলো- তিনি আরবের সব অঞ্চলের উচ্চারণে এবং আঞ্চলিক ভাষায় গান গাইতে পারঙ্গম ছিলেন। তিনি প্রেমের গানের জন্য মূলত বেশি জনপ্রিয় কিন্তু এর পাশাপাশি তার কণ্ঠে গাওয়া অনেক জনপ্রিয় দেশাত্ববোধক ও জাতীয়বাদী গানও আছে। তিনি পিতৃভূমি আলজেরিয়া এবং বৃহত্তর আরব জাতীয়তাবাদের গান গেয়েছেন।

বিনোদন