স্বল্প পুঁজি নিয়ে বল হাতে বেশ ভালোই শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। পেসার আবু জায়েদ রাহী নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ইনিংস গড়ায় মনযোগ দেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেইলর। তবে বৃষ্টি এসে আবারও বাগড়া দেয়। বৃষ্টির কারণে দুই দিন মাঠে একটি বল না গড়ানোর পর তৃতীয় দিনের খেলাও আজ সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায়। ২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে ১৭৩ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
বল হাতে নেমে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান টম ল্যাথামকে আজ শুরুতেই থামিয়ে দিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। দলীয় ৫ রানে জায়েদের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন ল্যাথাম (৪)। অপর ওপেনার জিত রাভালও দুই অংকে যেতে পারেননি। মাত্র ৩ রানে জায়েদের বলে ধরা পড়েনস সৌম্য সরকারের হাতে। এরপর ইনিংস গড়ায় মনযোগ দেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেইলর। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় আর খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। দিনের ২৫.২ ওভার বাকি থাকতে দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। কিউইদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮। উইলিয়ামসন ১০* এবং টেইলর ১৯* রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে তৃতীয় দিন থেকে শুরু হওয়া ওয়েলিংটন টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই সেশনেই মাত্র ২১১ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু দলকে সুন্দর সূচনা এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল এবং সাদমান ইসলাম। দুজন চা বিরতি পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন। এরপর শুরু হয় ছন্দপতন। গ্র্যান্ডহোমের বলে সাদমানকে (২৭) ফিরলে ভাঙে ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর নেইল ওয়াগনারের জোড়া আঘাতে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দ্রুত ফিরে যান ব্যর্থতার ঘানি টানা মুমিনুল হক (১৫) এবং মোহাম্মদ মিঠুন (৩)।
তখনও বাংলাদেশের আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন তামিম। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি। এগিয়ে যাচ্ছেন তিন অংকের দিকে। কিন্তু লাঞ্চের পরেই আশা রূপ নিল হতাশায়। দশম সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা বাড়িয়ে ১১৪ বলে ৭৪ রান করে ওয়াগনারের শিকার হলেন তামিম। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকার আজও সাবলীল খেলছিলেন। তার ২ চার ১ ছক্কায় ২০ রানের ইনিংসটি থামে হেনরির বলে উইকেটকিপার ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসবন্দি হয়ে।
আগের ম্যাচের আরও এক সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারেননি। ওয়াগনারের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরেছেন ১৩ রানে। ট্রেন্ট বোল্টের জোড়া আঘাতে দ্রুত ফিরে যান তাইজুল ইসলাম (৮) এবং মুস্তাফিজুর রহমান (০)। যে কারণে সিরিজে প্রথমবারের মতো সাবলীল খেলা লিটন দাস সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন। তাকে ৩৩ রানে ফেরান টিম সাউদি। শেষে আবু জায়েদকে (০) ট্রেন্ট বোল্ট বোল্ড করে দিলে ৬১ ওভারে মাত্র ২১১ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নেইল ওয়াগনার। ৩টি নিয়েছেন বোল্ট।