বিমান যখন আকাশে তখন আর কোনও দিকে খেয়াল না রেখে শিশু পর্নোগ্রাফির অ্যাপ ডাউনলোড করে তাতেই মজে গিয়েছিলেন এক ভারতীয় পাইলট। দিল্লি থেকে উড্ডয়ন করা সেই বিমানটি সানফ্রান্সিসকোয় নামার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের সামনে হাতক়ড়া পরানো হয় পাইলটকে।
এসময় মুম্বাইয়ের ওই পাইলটকে গ্রেপ্তার করে তার পাসপোর্ট আটক করা হয়। বাতিল করা হয় ভিসা। তারপর ওই পাইলটকে অন্য একটি বিমানে করে দিল্লি পাঠানো হয়।
মুম্বাই বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী ওই পাইলট বিমানের ফার্স্ট অফিসার ছিলেন। দিল্লি ও মুম্বাই থেকে তিনি বহুবার বিমান উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন আমেরিকায়। তবে আর কোনও দিনই ওই পাইলটকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন ব্যুরো অব কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটকশন্স।
শুধু একদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতেই যে ওই ভারতীয় পাইলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা নয়।
মুম্বাই বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত দুই মাস ধরেই ওই পাইলটের ওপর নজর রাখছিল মার্কিন ব্যুরো অব কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটকশন্স। বিমান চালানোর সময় শিশু পর্নোগ্রাফির অ্যাপ ডাউনলোড করা আর তা উপভোগ করার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই ছিল ওই পাইলটের বিরুদ্ধে। আমেরিকায় বিমান অবতরণের পর ওই পাইলট যে হোটেলে উঠতেন, সেখানেও কড়া নজর রাখা হয়েছিল।
গত দুই মাস ধরে ওই পাইলটের ওপর গোপনে নজরদারি চালিয়ে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তার সবকিছুই একটি ডসিয়ারে (কোনও ঘটনা সংক্রান্ত নথি) দিল্লিকে পাঠিয়েছে মার্কিন ব্যুরো অব কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটকশন্স।