ভারতের মাটিতে ভয়াবহ হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে তিন জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মোহাম্মদ, লস্কর ই তৈয়বা, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিরা একত্রিত হচ্ছে। এই তিন জঙ্গি সংগঠন একসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনা করছে বলে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদন বলছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠিগুলোকে সাহায্য করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী!
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বরের ২৫ থেকে ২৭ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখার পাশেই সর্দারির নামে একটি জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে দেখা গেছে হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে। প্রায় দুদিন ২০ জন জঙ্গির সঙ্গে সেখানে ছিলেন সালাউদ্দিন। সেখানে তিন স্থানীয় কমান্ডার হিজবুল মুজাহাদিনের আবু রসুল, লস্কর ই তৈয়বার ইসমাইল ভাই, জইশ ই মোহাম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর বাবর ভাইয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন সালাউদ্দিন। সেখানে ভারতে জঙ্গি হামলা নিয়ে আলোচনা হয়।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক সেনা অফিসার মেজর মীর কাশিমও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশে সবরকম সাহায্য করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সৈয়দ সালাউদ্দিন এর পর ২৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান টহল সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেনাবাহিনী নাকি তাকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের জন্য সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর অপর একটি জঙ্গি লঞ্চ প্যাড ঘুরে দেখেন সালাহউদ্দিন। বালারি লঞ্চ প্যাড সফরের সময় গুলাম মোহাম্মদ নামে এক স্থানীয় জঙ্গি কমান্ডারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে। সালাউদ্দিন ১৫টি ভেড়া, ১০টি ছাগল, ১২টি ষাঁড় উপহার দেন গুলামকে। সব মিলিয়ে যার মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ রুপি। বেশ কিছু স্থানীয় যুবকও ছিলেন সেই বৈঠকে। অথমুগাম এলাকায় মৃত জঙ্গিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, জানুয়ারির ১ তারিখে লস্কর ই তৈয়বার আবদুল্লা বালোচ ও জইশ ই মোহাম্মদের মৌলানা দানিশও বৈঠক করেন সালাউদ্দিনের সঙ্গে। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পুলিশবাহিনীকে ‘টার্গেট’ করার বিষয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। জম্মু ও কাশ্মীরে এ ভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইছেন সালাউদ্দিনের মতো সন্ত্রাসবাদীরা।
-সূত্র : আনন্দবাজার