বিশ্বে চীনকে সবেচ বড় অর্থনৈতিক গোয়েন্দা এবং মার্কিন অর্থনীতির জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। সেই সঙ্গে তাদের বিশ্বাস, গত বছর চীন সামরিক খাতে ১৮ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। এ অর্থ বেইজিং যা স্বীকার করেছে তা থেকে অনেক বেশি।
গত শুক্রবার কংগ্রেসের সামনে চীনের সেনা বাহিনীর ওপর বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পেশ করার সময় পেন্টাগন এসব কথা বলে।
গত বছর অ্যাডভান্স মিসাইল টেকনোলজি এবং সাইবার যুদ্ধে সক্ষমতা বাড়ানোর খাতে চীনা সরকার তাদের প্রকৃত বিনিয়োগ গোপন করেছে বলে দাবি করে পেন্টাগন। একই সঙ্গে চীনা গোয়েন্দাগিরি আমেরিকার অর্থনীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে তারা।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সাইবার গুপ্তচররা বিশ্বে সবেচ সক্রিয় বাহিনী এবং অর্থনৈতিক গোয়েন্দাগিরিতে তারাই সবচে প্রবল।
চীনারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত এবং অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। আর সামনে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা চালানো হবে ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে নিরাপত্তা হুমকি আরো বাড়বে বলে উল্লেখ করেছে তারা।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বছর এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক প্রভাব বাড়ানোর কৌশল গ্রহণের পর চীন সম্পর্কে পেন্টাগনের এটাই প্রথম প্রতিবেদন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ও ইরাকসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেনা সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।