ফেসবুক পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ঐতিহাসিক মূল্য নির্ধারণ করলেও গত শুক্রবার প্রথম দিনের লেনদেনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এযাবতকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করায় কোম্পানির মূলমান একেবারে আকাশছোঁয়া হলেও দিন শেষে শেয়ারের দাম আইপিওর কাছাকাছিতে গিয়েই শেষ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক পুঁজিবাজারে শুক্রবার সকালে ফেসবুকের শেয়ার লেনদেনের শুরুতে নির্ধারিত আইপিও ৩৮ ডলারের ১১ শতাংশ বেশি দামে শেয়ার বিক্রি হয়। কিন্তু শেয়ারের দাম ৪৫ ডলার ওঠার পর তা নামতে থাকে এবং দিন শেষে ৩৮ দশমিক ২৩ ডলারে নেমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ফেসবুকের আইপিও তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর এতে কোম্পানিটির মূল্যমান গিয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার।
পুঁজিবাজারে অভিষেকের দিনেই ফেসবুকের শেয়ারে এমন আশ্চর্যজনক দূর্বলতা কোম্পানির ব্যবসায়িক ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে এমনটি অবশ্য মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। যদিও তারা প্রথমে শেয়ারের মূল্য ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
তারপরও এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ফেসবুকের প্রধান আন্ডাররাইটার মরগান স্ট্যানলির মতো অনেকের কাছে হাতাশাজনকই ঠেকেছে। এর জন্য অনেকে বেশি মূল্যের আইপিওকে দায়ী করেছে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন আগামী সপ্তাহেও বেশ চাপে থাকে ফেসবুকের শেয়ার বাজার পরিস্থিতি।