নারী দিবসে নারী সুপারহিরোর ছবি ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’

নারী দিবসে নারী সুপারহিরোর ছবি ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’

মারাত্মক এক বিস্ফোরণের পর আকাশ থেকে একটি ভিডিও স্টোরের মধ্যে ছিটকে পড়েন বর্ম পরিহিত এক নারী। তারপর সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে চলাফেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় তার অতিমানবীয়-অনন্য আচরণ, একের পর এক শত্রুদের বধ করতে থাকেন তিনি। ক্যাপ্টেন মার্ভেল ছবির প্রথম ট্রেলারে এভাবেই ক্যাপ্টেন মার্ভেল বেশে হাজির হয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী ব্রি লারসন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অ্যানা বডেন ও রায়ান ফ্লেক। ক্যারোল ড্যানভার বা ক্যাপ্টেন মার্ভেল রূপে অভিনয় করেছেন ব্রি লারসন। ট্রেলারে ড্যানভারের শৈশব ও কৈশোরের কিছু সময়কালকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখানো হয়েছে তার সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বিষয়টিও। ট্রেলারটি ইউটিউবে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে। মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দেখা হয়েছে প্রায় ৪ কোটিবার। ব্রি লারসন ছাড়াও এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জুড ল, বেন মেলডেনসন, জিমন হুনসু, লি পেস ও গেমা চ্যান অভিনয় করেছেন। মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স নির্মিত নারী সুপারহিরোকেন্দ্রিক এ ছবিটি ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি।

ক্যাপ্টেন মার্ভেল মার্কিন বিমানবাহিনীর একজন পাইলট। তিনিই সুপারহিরো। ক্যাপ্টেন মার্ভেল ছবিতে তাকে একটি এলিট সামরিক দলের অংশ হিসেবে দেখা যাবে। ছবিটির পরিচালক অ্যানা বডেন ক্যাপ্টেন মার্ভেলকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘ক্যারল ড্যানভার বা ক্যাপ্টেন মার্ভেলের বিশেষত্ব হচ্ছে তার মানবিকতা। সুপারহিরো হলেও তিনি মনে-হূদয়ে একেবারে মানুষ।’ ব্রি লারসন তার নতুন লুক দিয়ে ভক্ত, সমালোচকদের মুখে বিস্ময় জাগিয়ে তুলেছিলেন। প্রায় সবাই প্রশংসা করছেন ক্যাপ্টেন মার্ভেলকে। মার্ভেল কমিকসের চরিত্র ক্যারল ড্যানভার বা ক্যাপ্টেন মার্ভেলকে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারহিরো হিসেবে তুলে ধরেছে এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি, সঙ্গে তারা এটাও বলেছে, ‘ভবিষ্যৎ দুনিয়া নারীদের’।

‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’-ই মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের প্রথম সিনেমা যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে কোনো নারীকে। কমিক দুনিয়ায় ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ চরিত্রটির প্রথম আগমন ঘটে ১৯৬৮ সালে। মহাশূন্যের এলিয়েন ‘মার-ভেল’-এর মানব সঙ্গী হিসেবে। পরে সেই সঙ্গীই ধীরে ধীরে অর্জন করে নেয় তার নিজস্ব ‘সুপার পাওয়ার’। সত্তরের দশকের মধ্যের দিকে যাকে ডাকা হতো ‘মিস মার্ভেল’ নামে। কমিকসের পাতায় ১৯৮২ সালে ক্যান্সারের কারণে মারা যায় মূল ‘মার-ভেল’। ২০১২ সালে মিস মার্ভেলকে দেওয়া হয় ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’-এর খেতাব।

‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ কি পারবে মার্ভেল কমিকসের নারী সুপারহিরো কেন্দ্রিক প্রথম ছবি হিসেবে ডিসি ইউনিভার্সের একমাত্র সুপারডুপার হিট ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’-কে ভুলিয়ে দিতে? দর্শক ট্রেইলার দেখেই ক্যাপ্টেন মার্ভেলের প্রশংসা করেছেন ‘নারীশক্তির প্রতীক’ হিসেবে। তবে সঠিক উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত।

বিনোদন