বলিউডে যৌন হয়রানির যতগুলো অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত ছিল ইরানি মডেল ও অভিনেত্রী এলনাজ নরোজির ঘটনাটি। চলচ্চিত্রকার বিপুল অমৃতলাল শাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই অভিযোগের শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। নরোজির মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ শুনতে সম্মত হয়েছিলেন পরিচালক। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারের মুখোমুখি হতেও রাজি ছিলেন তিনি। তবে যৌন হয়রানির ব্যাখ্যা দিতে পারেননি অভিনেত্রী। এমনকি শুনানিতে হাজিরই হননি তিনি।
বলিউডে প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট (পিওএসএইচ) গঠিত এক কমিটি চিঠি দিয়ে অভিনেত্রী এলনাজ নরোজিকে শুনানির জন্য আহ্বান করে। ১১ দিন পর গত ২৬ জানুয়ারি ফিরতি এক ই-মেইলে নরোজি লেখেন, ‘এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিপুল শাহর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পর আপনাদের সহযোগিতা আমার দরকার হবে। আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা না বলে এই মুহূর্তে আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারছি না।’
ইরানি মডেল ও অভিনেত্রী এলনাজ নরোজির অভিযোগ তদন্তের জন্য পিওএসএইচ কমিটি ‘নমস্তে ইংল্যান্ড’ ছবির পরিচালক বিপুল শাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইএফটিডিএ) অব্যাহতি দিয়েছে তাঁকে। আইএফটিডিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার শুনানির সময়ে এলনাজ কোনো রকম সহযোগিতা করেননি। কোথায় কীভাবে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, সেসব প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেননি। তবে এলনাজের মুখোমুখি হতে এবং কমিটির বিচার মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত ছিলেন বিপুল শাহ।
#মি টু আন্দোলন চলাকালীন গত বছরের অক্টোবরে এলনাজ নরোজি অভিযোগ করেছিলেন বলিউড পরিচালক বিপুল শাহর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, একটি ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ দেওয়ার কথা বলে বিপুল একাধিকবার তাঁর অডিশন নিয়েছিলেন। অডিশন চলাকালীন নানাভাবে তাঁকে হয়রানি করেন তিনি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া