গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের আকাশে ভারতীয় এবং পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলে ভারতীয় দুটি এবং পাকিস্তানি একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়। কিন্তু পাকিস্তান বিমান ভূপাতিতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, তাদের কোনো বিমান নিখোঁজ হয়নি।
তবে লন্ডনভিত্তিক আইনজীবী খালিদ ওমরের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক বলছে, গত বুধবার কাশ্মীরের আকাশে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের গুলিতে শুধুমাত্র পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ শুধু ভূপাতিতই হয়নি; বরং ভূপাতিত বিমান থেকে প্যারাস্যুট ব্যবহার করে নিরাপদে বেরিয়ে আসার পরও পাইলট শাহাজ-উদ-দীনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা।
আইনজীবী খালিদ ওমর বলেছেন, তিনি ওই পাইলটের পরিবারের সদস্যদের কাছে এসব তথ্য পেয়েছেন। পরিবারের দাবি, ভারতীয় বিমানের পাইলট মনে করে শাহাজকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নওশেরা সেক্টরের কাছে উত্তেজিত পাকিস্তানিরা মারপিট করেছে। পরে পাক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু নিজ দেশের মানুষের ভুলে মারপিটের শিকার পাকিস্তানি এই পাইলট গুরুতর আহত অবস্থায় মারা যান।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের হামলায় দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) ৪০ সদস্যের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার পর থেকে প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্ক চরম উত্তেজনায় রূপ নেয়।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, ইসলামাবাদ সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে। পরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা পরিচালনা করে ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এই হামলার পরদিন পাকিস্তান ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করে।
একই সঙ্গে কাশ্মীরের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভূপাতিত এক ভারতীয় পাইলটকে আটকের তথ্য জানায়। একই সময়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিগ-২১ থেকে গুলি চালিয়ে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ভূপাতিত করা হয়েছে।
তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। শান্তির ইঙ্গিত হিসেবে ১ মার্চ ভারতীয় আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরত দিয়েছে পাকিস্তান।
সূত্র : স্পুটনিক