ফ্রান্সে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন। শনিবার বিক্ষোভের ১৬তম সপ্তাহে ফের রাজধানী প্যারিসহ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৩৯ হাজার ফরাসি আন্দোলনে নেমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালায়। এদিন ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী।
বিক্ষোভ দমাতে কাঁদানে গ্যাস, গরম পানি ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে আহত হয় অনেকে। পরিস্থিতি নিরসনে ইয়েলো ভেস্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর চলমান আলোচনা ১৫ই মার্চ শেষ হতে যাচ্ছে। তবে, কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত না আসলে আগামী ১৬ই মার্চ স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার ‘ইয়োলো ভেস্ট আন্দোলকারীদের ওপর চড়াও হয় শত শত ফরাসি দাঙ্গা পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা প্যারিসের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে দেয়। হামলা চালানো হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও।
এসময় নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ’র দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তে পুরো ফ্রান্সই এখন থমকে গেছে। যতদিন না পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ না নেয়া হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমাদের চলমান আলোচনা আগামী ১৫ তারিখ শেষ হতে যাচ্ছে। তবে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন আগামী ১৬ই মার্চ আরো বড় পরিসরে রাস্তায় নামবে।
শনিবার বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায় বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষকেও। আন্দোলনে প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থীরও অংশ নিচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা আরো জানান, সরকারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে যে আলোচনা চলছে এটা অযোক্তিক। এত দিন ধরে কোন আলোচনা চলতে পারে না। আমারা চাই এই সপ্তাহের মধ্যেই কোন সমাধান আসুক।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ক্লিন এনার্জি উদ্যোগের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কর বাড়ানো হয়। এরপর থেকে জ্বালানি তেলের বাড়তি কর, দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্রের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ফ্রান্সে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন চলছে।