পরমাণু অস্ত্রমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার কোনো অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার মেরিল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছালে দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। এদিকে, কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের ভিয়েতনাম সম্মেলনে, দেশ দুটির মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলেও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সুযোগ এখনো রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ব্যর্থ সম্মেলন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই শনিবার মেরিল্যান্ডে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে যোগ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার সামনে এখনো সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে করে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দেশটির পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় সেক্ষেত্রে দেশটির সামনে অসাধারণ ও চমৎকার ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। কিন্তু তারা পরমাণু অস্ত্রমুক্ত না হলে তাদের অর্থনৈতিক কোন ভবিষ্যত নেই। এটা তাদের জন্য খুবই খারাপ হবে। আমরা দেখব তারা কি করে তবে আমার বিশ্বাস ভাল কিছুই হবে। আমি মনে করি এখনো আমাদের সম্পর্ক অটুট রয়েছে।’
ভিয়েতনাম সম্মেলন শেষে গত শুক্রবার কিমের প্রশংসা করায় ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন উত্তর কোরিয়ার জেলে মারা যাওয়া মার্কিন শিক্ষার্থী অটো ওয়ার্মবিয়ারের পরিবার। এ প্রসঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ট্রাম্প বলেন, ওয়ার্মবিয়ার ও তার পরিবারকে অনেক ভালবাসেন তিনি, তবে কোন না কোনভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোও জরুরি।
এদিকে কোন চুক্তি ছাড়াই ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক শেষ হলেও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সুযোগ এখনো রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চায় তবে তা তাদের নিজেদের মতো করে।
রবার্ট লিটওয়াক বলেন, ‘উভয় পক্ষই বলছে তারা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে। যেমন উত্তর কোরিয়া চায় তাদের সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া বন্ধ হোক, তাদের সব সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক। যা যুক্তরাষ্ট্র সহজে মেনে নিতে চাইবে না। মনমানসিকতা পরিবর্তনের আগ্রহ নিয়ে বৈঠকে বসলে সংকট সমাধানের সুযোগ রয়েছে।’
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে চীন বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন এই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।