‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ১১২ দিন মাতৃত্বকালিন ছুটি অত্যন্ত অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
মাতৃত্বকালিন ছুটি প্রসঙ্গে সম্প্রতি শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিজিএমইএ’র এক সুপারিশ প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজিএমইএ’র প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের তুলনায় অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া ও চায়নায় মাতৃত্ব কল্যাণ ছুটি ৯০ দিন, ভারতে ৮৪ দিন এবং মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে ৬০ দিন (সিজারিয়ান ৭৮ দিন) ছুটির বিধান রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে ‘ভারতের ন্যায় বাংলাদেশের শ্রম আইনেও মাতৃত্বকালিন ছুটি ৮৪ দিন (১২ সপ্তাহ) হওয়া বাঞ্চনীয়’ বলে মত ব্যক্ত করে বিজিএমইএ বলেছে, ‘অফিস আদালতে কেউ ৬ মাস অনুপস্থিত থাকলে কাজের তেমন ব্যাঘাত ঘটে না। কিন্তু পোশাক শিল্পে যেখানে ৮০ ভাগ নারী শ্রমিক কর্মরত, সেখানে একজন দক্ষ শ্রমিকের দীর্ঘ সময় অনুপস্থিতিতে উৎপাদন কঠোরভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
আরো বলা হয়, শূন্যস্থানে নতুন শ্রমিক নিয়োগে প্রশাসনিক জটিলতা বাড়বে। পাশাপাশি দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে একদিকে শ্রমিকের দক্ষতা হ্রাস পাবে, অন্যদিকে সুবিধা পাওয়ার পর চাকুরিতে ফিরে না আসার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাবে।’
বিজিএমইএ’র প্রস্তাবে বলা হয়, ‘আশির দশক থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পোশাক শিল্প মূল্যবান অবদান রেখে আসছে। এ শিল্পের কাজের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক নারী শ্রমিক সহজে সন্তান জন্ম দেওয়ার চিন্তা করতো না। কিন্তু মাতৃত্বকালিন ছুটি সুবিধা বিদ্যমান ১৬ সপ্তাহ (১১২ দিন) থেকে বাড়িয়ে ২৪ (১৬৮ দিন) সপ্তাহ করা হলে সেটা জন্ম নিয়ন্ত্রণ না হয়ে জন্মহার বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা হবে’ বলে মন্তব্য করেছে বিজিএমইএ।