আসন্ন লন্ডন অলিম্পিক গেমসে ইরানি অ্যাথলেটদের উৎসাহ দিতে সেখানে উপস্থিত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ। তবে এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আর ব্রিটেনও এ ব্যাপারে অনীহা দেখিয়েছে।
আসন্ন ২০১২ অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে যাওয়া ইরানি অ্যাথলেটদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাক্ষাতকালে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ বলেন, ‘আমি তরুণ এই অ্যাথলেটদের পাশে থাকতে চাই। তবে আয়োজকদের সম্ভবত এ ব্যাপারে সমস্যা আছে।’
তবে তার ইচ্ছার কথা অলিম্পিক কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন কি না বা ব্রিটেন তাকে আমন্ত্রণ করতে রাজি কি না সে ব্যাপারে কিছু বলেননি প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ।
উল্লেখ্য, ২০১২ অলিম্পিকের লোগো সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট বলে গত বছর অভিযোগ তুলেছিল ইরান। লোগোতে প্রকারান্তরে ‘জায়ন’ বা ইহুদি জাতীতাবাদ প্রতীয়মান করার চেষ্টা করা হয়েছে এ অভিযোগে ইরান অলিম্পিক গেমস থেকে তাদের অ্যাথলেটদের প্রত্যাহার করারও হুমকি দিয়েছিল। পরে অবশ্য সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
এবারের অলিম্পিক গেমসের ভারোত্তলন, রেসলিং, শ্যূটিং, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড এবং টেবিল টেনিসসহ আরো কয়েকটি খেলার জন্য ৫০ জন ইরানি অ্যাথলেট নির্বাচিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান-ব্রিটেন সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এর জেরে দেশটির ওপর ব্রিটেন অবরোধ আরো কঠোর করলে তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা হয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ব্রিটেন। এরপর তেহরানের প্রতি ব্রিটেনের শত্রুভাবাপন্ন নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে।