কুয়েত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহমাদ আল মেজরিন আল রুমির নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশে কুয়েতের বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন।
৩ দিনের সফর শেষে শনিবার তারা ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ও মধ্য এশিয়া অণুবিভাগের মহাপরিচালক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এসব বৈঠকে কুয়েতের তরফ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশের তরফ থেকে জনশক্তি রপ্তানি প্রাধান্য পায়।
কুয়েত বাংলাদেশের জ্বালানিখাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে তারা বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপনে উৎসাহ দেখিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কুয়েতের বিনিয়োগকারীরা ইউরোপ থেকে তাদের কারখানা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে বলে দীপু মনি ও গওহর রিজভী কুয়েতি প্রতিনিধি দলকে জানান।
এছাড়াও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুযোগ আছে বলেও তাদের জানানো হয়।
কুয়েত বাংলাদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ নার্স ও প্রকৌশলীদের তাদের দেশে কর্মসংস্থানের জন্য নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া অন্যখাতে দক্ষ কর্মীও তাদের প্রয়োজন বলে জানায়।
এদিকে কুয়েত থেকে জাল পাসপোর্টের কারণে ফেরত আসা ৮১ বাংলাদেশি কর্মীকে সেদেশে ফের কাজের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বৈধ ভিসা থাকলেও জাল পাসপোর্টের কারণে তাদের গত ৩০ এপ্রিল বিমানবন্দর থেকেই দেশে ফেরত পাঠায় কুয়েত কর্তৃপক্ষ।