দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। ঝুঁকির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে দেশকে চারটিসিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে সিলেট ও পাশ্ববর্তী এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। অপরদিকে যশোর ও খুলনা এলাকা ভূমিকম্পে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। সরকার দলীয় সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে আরো জানান, প্রতিবছর ১০ মার্চ জাতীয় দুযোর্গ প্রস্তুতি দিবস এবং ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মার্কেট, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়ার আয়োজন করা হয়। বর্তমানে দুই হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কাউট শিক্ষককে ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া আয়োজনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়ার আয়োজন করা হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুযোর্গকবলিত জনগণকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া চীনের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অনুদান হিসেবে দুযোর্গ ব্যবস্থানা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে সরবরাহ করা হয়েছে।
ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরশেনসহ কয়েকটি মহানগরীতে আপদকালীন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ভূমিকম্পসহ বড় ধরণের দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সারাদান সমন্বয়ের জন্য ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ভূমিকম্প সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠান ও সংবাদ রিপোর্টিং এবং ভূমিকম্প মোকাবিলায় করণীয় সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।