ঢাকার ধামরাইয়ের কৃষ্ণপুরা বাথুলীতে অবস্থিত আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় নিকোলাই ম্যানিয়া (৬০) নামের রোমানিয়ার এক নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। নিহত নিকোলাই ম্যানিয়া এফ এস এ নামক জার্মানীর একটি কম্পানির নিয়োগকৃত আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানার মেকানিক্যাল টেকনেসিয়ান ছিলেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সাড়ে সাতটা পর্যন্ত) সিআইডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন বলে জানান, ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার সকালে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানার ভেতরের গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে।
কারখানার কর্মকর্তা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আকিজ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় ভেতরে সংরক্ষিত এলাকার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে থাকতেন রোমানিয়ার ওই নাগরিক। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে তার কক্ষে যান। আজ শনিবার সকালে নিকোলাই ম্যানিয়া কারখানায় না আসলে তার মোবাইল নম্বরে কল করেন তার সহযোগী একই দেশের নাগরিক নিকোলাই কসমি।
তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কক্ষে গিয়ে তার লাশ বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন কসমি। পরে নিহতের ঘটনা কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। বিদেশি নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনায় পরবর্তীতে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকাকে অবহিত করেন ধামরাই থানা পুলিশ।
বিকেলে সিআইডির ইন্সপেক্টর আবদুর রহিমের নেতৃত্বে সিআইডির কয়েক সদস্য ঘটনাস্থল রেকি করেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করেন। তবে কোন ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছেন জানা যায়নি। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি অনেকের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে বলে জানা গেছে। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি নাগরিকদের জন্য গেস্ট হাউজে দিনে বা রাতে কে কি করত তা কেউ জানতে পারত না। অন্য কেউ গেলে তারা রাগান্বিত হতেন। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
এদিকে এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কারখানার ভেতর কোনো সংবাদকর্মীকে ঢুকতে দেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, রোমানিয়ার নাগরিক নিকোলাই ম্যানিয়াকে কেউ হত্যা করেছে না আত্মহত্যা করেছে না অতিরিক্ত ড্রিঙ্ক করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা আপাতত বলা যাবে না। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।