জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয়েছে হুমকি পাল্টা হুমকি। একে অপরকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতেও পিছপা হচ্ছে না। এমন উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠিতে যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। বেলুচিস্তানের মিলিটারি বেসকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, কোয়েটা ক্যান্টনমেন্ট স্থিত পাক সেনার বেস হেডকোয়ার্টাস কোটা লজিস্টিকস এরিয়ার (HQLA) পক্ষ থেকে গত বুধবার জিলানি হাসপাতালে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা সংক্রান্ত বন্দোবস্তের কথা বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সিন্ধু এবং পাঞ্জাবের সিভিল বা মিলিটারি হাসপাতালে আহত সেনাদের নিয়ে আসা হতে পারে। এজন্য ২৫ শতাংশ বেড খালি করে তা সংরক্ষিত রাখা ও জরুরি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইমরানের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে দেশের সামরিক বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইমরান খান তার দেশের সেনাবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর যেকোনো হামলার চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ জবাব দেয়ার কর্তৃত্ব দিয়েছেন।
একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার শিকড় উপড়ে ফেলা প্রচেষ্টা জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে এনএসসি। বৈঠকে ভূ-রাজনৈতিক, জাতীয় নিরাপত্তা এবং পুলওয়ামা হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক থেকে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার সমস্ত অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে।