পুরান ঢাকার চকবাজারের পুড়ে যাওয়া ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে এখনো বহু কনটেইনার এবং প্যাকেট ও কন্টেইনারভর্তি কেমিক্যাল মজুদের সন্ধান পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এগুলো পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারীরা। তবে তা অপসারণের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
বুধবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডেও সে পর্যন্ত পৌঁছায়নি আগুন। আগুন ভবনের বেজমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছালে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা হতো মারাত্মক।
আজ শুক্রবার ওয়াহিদ ম্যানশনের বেজমেন্টে গিয়ে দেখা মেলে শত শত ড্রাম, বিভিন্ন কন্টেইনার ও প্যাকেটে নানা ধরনের কেমিক্যাল। রং তৈরিতে ব্যবহৃত হতো এসব কেমিক্যাল, পাউডার এবং লিকুইড।
ভবনের বেসমেন্টে দেখা গেছে শত শত বস্তা প্যাকেট ও কন্টেইনারে রয়েছে রঙের পাউডার। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এসব পাউডার উচ্চ দাহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। তাদের দাবি, এই ভবনটিতে শুধু অননুমোদিতভাবে রাসায়নিক মজুত করা হয়েছে তাই নয়, এমনকি মজুত করার ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোনো নিয়মকানুনও। চুড়িহাট্টার চৌরাস্তার সামনে লাগা আগুন যদি বেজমেন্ট পর্যন্ত আসতো তাহলে আগুনের ভয়াবহতা ও নির্মমতা কোন পর্যায়ে যেতো তা কল্পনাতীত।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা সব কেমিক্যালই বিপদজনক উল্লেখ করে বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে বেজমেন্টে কার পার্কিং থাকার কথা। তবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেজমেন্টে গোডাউনে রাসায়নিক রাখা হয়েছে।