বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচের কথা বিবেচনা করে অনেকেই অনাড়ম্বর পরিবেশে গাঁটছড়া বাঁধেন। স্বজনদের বিয়ের অনুষ্ঠানের খাটনি থেকে বাঁচতে অনেকে দ্বারস্থ হন কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু করে ইভেন্ট ম্যানেজমন্টের।
বিয়ের পর্ব শেষ হলে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। বিশেষ করে যারা প্রথাগত নিয়মে সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিয়ে করেন, তারা বিয়ের পর্বটা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন।
অবশ্য ইদানীং অনেকেরই দুই বার বিয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে গোপনে নিজেরা বিয়ের পর পারিবারিকভাবে আবারো সেই নারীকে অনেকেই বিয়ে করেছেন। কিন্তু ১২ বার ১২টি দেশে বিয়ের কথা কখনো শুনেছেন?
ক্যালিফোর্নিয়ার এক দম্পতি সেটাই করেছেন। কেঞ্জি ও টেলর তানিগুচি প্রথমবার বিয়ে করেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। পরে তারা বিয়ে করেন ইতালিতে। এরপর থাইল্যান্ড, ইসরায়েল, কিউবা, স্পেন ও ইন্দোনেশিয়াতেও বিয়ে করেছেন।
কেঞ্জিদের দাবি, বিয়ের স্মৃতিকে আরেকটু বেশি রোমাঞ্চকর করতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথমবার বিয়ের সময় টেলর পরেছিলেন দাদির ওয়েডিং ড্রেস। এর পর অন্য একটি গাউনও পরেন তিনি। তখনই নাকি তার মনে হয় ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের কথা।
বিয়ের গাউনের জন্য ১০০ ডলারের বেশি খরচই করেননি। বরং সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ানোয় টাকা খরচ করতেই চেয়েছিলেন তারা।
টেলর একজন বিমানকর্মী। তাই সহজেই বিমানের টিকিট বুক করতে পারেন তারা। প্রথমে টেলরকে জাপানে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেঞ্জি। তাই সেখানে বিয়ে করেন দ্বিতীয় বার। আগামী ভালোবাসা দিবসে ১৩ নম্বর বার বিয়ের কথা ভাবছেন তারা।
কেঞ্জি ও টেলর বলেন, আসলে ‘ইউ মে কিস দ্য ব্রাইড’ কথাটা শোনার মুহূর্তটা সবচেয়ে ভালো লাগার মুহূর্ত তাদের জন্য।