যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যোগ দেওয়া শামীমা বেগম বাংলাদেশি নয়। তাঁর জন্ম স্থানও বাংলাদেশ নয়। আর এসব কারণে তাঁকে বাংলাদেশের গ্রহণ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বুধবার রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, শামীমা বেগমের নাগরিকত্বের বিষয়টি যুক্তরাজ্যের এখতিয়ার। এখানে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই। যুক্তরাজ্য শামীমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার পর ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত’ বা ‘বাংলাদেশি’ হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানো হতে পারে-বিভিন্ন গণমাধ্যমে গতকাল দিনভর এমন ইঙ্গিতের পর রাতে বাংলাদেশ সরকার ওই সম্ভাবনা নাকচ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় আইসের উগ্রবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে আমাদের নজরে এসেছে। যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক হিসেবে ভুল করে চিহ্নিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ‘বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলছে যে শামীমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিক নন। জন্মসূত্রে তিনি একজন ব্রিটিশ। আর তিনি কখনও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে পৈত্রিক যোগসূত্র থাকলেও শামীমা বেগম কখনও বাংলাদেশে আসেননি। তাই তাঁকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদের ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ার নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’