কালো টাকা সাদা করা সুযোগের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর

কালো টাকা সাদা করা সুযোগের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর

জরিমানার বিধান রেখে আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদানের ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, পেনাল্টির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার একটা স্থায়ী পদ্ধতি আছে। প্রয়োজনে এটাকে আরো সংস্কার করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে ডিস্টার্ব করা হবে না। এখানে যা আছে, তাই থাকবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআই-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৩তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়ানো। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকেও উৎসাহিত করছে সরকার। কিন্তু তাই বলে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হবে না। কর দিতেই হবে ধাপে ধাপে। উৎপাদন ও এসেম্বল পর্যায়ে করের হার এবার তেমন পরিবর্তন করা হবে না।

তিনি বলেন, বাজেটে সবার পক্ষে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। চাহিদা সব সময়েই অনেক বেশি। সে তুলনায় সরবরাহ কম। এখানে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে পাঁচটি খাতে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এগুলো হচ্ছেÑ দক্ষতার উন্নয়ন, ইটিপি স্থাপন, পোল্ট্রি খাত এবং ভুট্টা ও বিট উৎপাদন খাতে।

এছাড়া বর্তমানে যেসব খাতে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে- সেসব খাতে প্রণোদনা বন্ধ করা না হলেও আগের মতো দেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। এছাড়া প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন প্রথা তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছরেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

অর্থ বাণিজ্য