কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ৪০ রিজার্ভ ফোর্স সেনার করুণ মৃত্যুর ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে আমেরিকা ঘোষণা করেছে যে,আত্মরক্ষার্থে ভারত কোনও পদক্ষেপ করলে তারা সেটাকে পূর্ণ সমর্থন জানাবে। একইসঙ্গে ‘জঙ্গিবাদের আঁতুরঘর’ উল্লেখ করে পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনাও করেছে আমেরিকা।
মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও পুলওয়ামায় হামলা নিয়ে শুক্রবার ফোনে কথা হয় ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোল্টন বলেন, ‘অজিত ডোভালের সঙ্গে আজ আমার কথা হয়েছে। তাকে বলেছি, আত্মরক্ষার্থে ভারত যা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে; তাতেই আমেরিকা তার পূর্ণ সমর্থন দেবে।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বোল্টন। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আর সেই সন্ত্রাসবাদীদের মদত জুগিয়ে যাচ্ছে তারা। পাকিস্তান যদি এখনই জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করে, তা হলে এর ফল ভুগতে হবে তাদের।’
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কারণে বিশ্বের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া এখনই বন্ধ করুক পাকিস্তান।’
এই প্রথম নয়, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এর আগেও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায় একঘরে হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের। জম্মু-কাশ্মীরে নানা সময়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের রোষের মুখেও পড়তে হয় তাদের।
সাবেক ক্রিকেট মহাতারকা ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর মনে করা হয়েছিল, হয়ত সন্ত্রাসবাদ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করবেন তিনি। কিন্তু ইমরান আমলে এসেও পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদলায়নি বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত-পাক সীমান্তে পাকিস্তানি সেনারা দিনের পর দিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় সেনার মুণ্ড কেটে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ঘটনাতেও নাম উঠে এসেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের।