আড়াই বছর আগে উরি সেনা ছাউনিতে হামলার পর ভারতজুড়ে এক সুরে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। আমজনতা থেকে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী, সাবেক সেনা কর্মী-কর্মকর্তা মহলে জন্মেছিল তীব্র ক্ষোভ। তার পর আবারো বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল।
এবার পুলওয়ামায়। সিআরপিএফ কনভয়ে। নেপথ্যে সেই জৈশ-ই-মুহাম্মদ, যে জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছিল উরিতেও। উরি হামলার পর পাকিস্তানে ঢুকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে জঙ্গিদের আস্তানা ধুলিস্যাৎ করেছিল ভারতীয় সেনারা।
পুলওয়ামা হামলার পরেও সরকারের শীর্ষ স্তরে তীব্র তৎপরতা শুরু হয়েছে। সেনা, প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। শুক্রবার পুলওয়ামায় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তদন্তে যাচ্ছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।
আজকের হামলা উরির চেয়ে তো বড়, এমনকি জম্মু কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা এটা। ভারতজুড়ে স্বাভাবিকভাবেই ধিক্কার, নিন্দার ঝড় উঠেছে। জোরালো হচ্ছে জাতীয়তাবাদের সুর।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে শাসক-বিরোধী সব দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা এক সুরে বলেছেন, ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ চালানো হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সবাই।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর ওপর হামলা ঘৃণ্য ঘটনা। এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। বীর জওয়ানদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। শহিদদের পরিবারের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে পুরো দেশ। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক সেই কামনা করি।