দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একমঞ্চে থাকার অধিকার নেই বিধায়কের। ক্ষুব্ধ জনতার দাবি ছিল এমনটাই। শুধু এমন দাবি তুলেই থেমে থাকেনি তারা। বিধায়ক এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। বিধায়ককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার মা এবং প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধেও।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের অরনি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায়। ওই দিন দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া শিণ্ডে তোড়সামকে নিয়ে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধনে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক রাজু নারায়ণ তোড়সাম।
ঘটনাচক্রে ওই দিন তার ৪২তম জন্মদিন ছিল। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে বিধায়কের জন্মদিন পালন করতে ব্যস্ত ছিলেন তার অনুগামীরা। সে সময় আচমকা সেখানে এসে উপস্থিত হন বিধায়কের মা এবং প্রথম স্ত্রী অর্চনা শিণ্ডে।
তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির কয়েকজন সমর্থকও। অভিযোগ উঠেছে, প্রথমে প্রিয়ার ওপর চড়াও হন তারা। কিল-চড়-ঘুষি থেকে শুরু করে মারধর, কিছুই বাদ পড়েনি।
মারধর বন্ধের জন্য কাকুতিমিনতি করতে থাকেন প্রিয়া। তবে প্রিয়ার সে আবেদনে কান দেয়নি হামলাকারীরা। প্রিয়াকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে বাঁচাতে যান বিধায়ক। সে সময় বিধায়কের উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়েন তার মা, প্রথম স্ত্রী-সহ বাকিরা।
বিধায়ক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রিয়ার মুখে চোট লেগেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেয়ার কথা জানিয়েছেন রাজু নারায়ণের মা, প্রথম স্ত্রী অর্চনা এবং প্রিয়া। তবে তাতেও বিধায়কের ওপর রোষ কমছে না এলাকাবাসীর। আট বছরের বিবাহিত জীবন এবং দু’টি নাবালক সন্তানকে ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় রাজু নারায়ণের ওপর বেজায় চটে রয়েছেন তারা। তার বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি তুলেছেন অনেকে।
ইতোমধ্যে এক পথচারী পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করায় রাজুর সমস্যা আরো বেড়ে গেছে। বিধায়কের কীর্তি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই তার প্রথম স্ত্রী অর্চনার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অনেকে।