স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন ‘মিছিল করে কেউ আদালতে আসেন না। আইন-আদালতের প্রতি সম্মান রেখে বিচারপ্রার্থীর আদালতে আসা উচিত। এরা বিচারপ্রার্থী নয়।’
জামিন না পেয়ে বিএনপির গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার উল্লেখ করে বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ কক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
জামিন দিলেও তারা (বিএনপি) উৎসাহের সঙ্গে গাড়ি ভাঙচুর করতো উল্লেখ করে টুকু বলেন, যখন জামিন শুনানি চলছে, তখন গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। তারা আসলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আদালতে গেছেন।
জামিন দেওয়া না দেওয়া আদালতের কাজ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।’ নিম্ন আদালত জামিন দেননি। উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।’
আদালত চত্ত¡রে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, ‘কেউ লাঞ্ছিত হয়ে থাকলে, আহত হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।’
সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ যা করা দরকার তা করবে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাঝখানে সাংবাদিক ভাইদের অবস্থা দুরহ হয়ে পড়ে।’
এ বিষয়টি আইজপি দেখবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিকদের বাস্তব অবস্থা বিবেচনার অনুরোধও জানান তিনি।
‘আসামির জামিন না হলে গাড়ি ভাঙবো, অগ্নিসংযোগ করবো এটা হতে পারে না’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারপ্রার্থীর পক্ষে জোর-জবরদস্তি কী বিচারপ্রার্থীর কাজ?’
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি হত্যা, ভাঙচুরে মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়, তখন পুলিশ নীরবে বসে থাকতে পারে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর করে, সচিবালয়ে বোমা হামলা করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এসব করছে।’