নতুন করে দেশে আরো ১৬২টি খাদ্যগুদাম নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদীর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, চাহিদাপত্র পেলে খুলনা জেলার রূপসা তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার কোনো এক জায়গায় খাদ্য গুদাম নির্মাণের বিষয়টি নতুন খাদ্য গুদাম প্রকল্পে আন্তর্ভূক্ত করা হবে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের (বাবলা) প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর ও বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির মাঝে সম্পাদিত এমওইউ-এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ধারে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে রোহিঙ্গাদের এ বাড়তি চাপে দেশে আপাতত খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে দেশে সরকারিভাবে চাল মজুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে সরকারি খাদ্য গুদামসূহের ধারণক্ষমতা ছিল ১৭ দশমিক ১৭ হাজার লাখ মেট্রিক টন। উক্ত ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২০ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। সরকারি গুদামজাতকৃত চালের মোট মজুদ ১৩ দশমিক ৫৪ লাখ মেট্রিক টন, যা সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হয়েছে।
সরকারি দলের ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, দেশে মোট খাদ্য গুদামের সংখ্যা ২ হাজার ৭২২টি এবং গম সংরক্ষণের জন্য সাইলো রয়েছে ৭টি। এ সকল খাদ্য গুদামে ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী দেশে মজুদ খাদ্যশস্যের পরিমাণ হচ্ছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩১৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ মেট্রিক টন এবং গম মজুদের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন।