মাদকের মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন রায় দিয়েছে মাদকের মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এটা করতে হলে আইনে কিছু সংশোধনী আনতে হবে। সেটাকে সামনে রেখে আমরা এই অধিবেশনেই আইনের সংশোধনী উপস্থাপন করা হবে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত সম্পুরক প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। জবাবে মন্ত্রী বলেন, মাদক একটা ব্যাধি, এটাকে নির্মূল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা মনে রেখে আমরা মাদকের মামলাগুলো যে মুহুর্তে তদন্ত শেষ করে কোর্টে আসছে, সেই মুহুর্তে মামলা শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। শুধু তাই না, দ্রুত স্বাক্ষী সাবদ দিয়ে তড়িৎ শেষ করার চেষ্টা করছি।
সরকারী দলের সদস্য ওয়াসেরাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের বিষয় আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হবে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী তৈরী করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে পুনরায় উক্ত সংশোধনী মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিগত ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।