মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই দেশের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে।
বুধবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। গত ১৩ থেকে ১৫ মে তিনি মালয়েশিয়া সফর করেন।
শ্রমমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে প্রতিনিধি দল শ্রমশক্তি অবকাঠামো পর্যবেক্ষণ করবে। পর্যবেক্ষণ শেষে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় চার লাখ শ্রমিক ও কর্মী রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৬৮ হাজারই অবৈধ। অবৈধ এসব শ্রমিককে বৈধ করতে তাদের হাতে লেখা পাসপোর্ট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।’
শ্রমিকদের অবৈধ হিসেবে দেখার কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, ‘অভিবাসন ব্যয় বেশি হওয়ায় শ্রমিকরা সেখানে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি থাকছে। এ কারণে তারা অবৈধ হয়ে পড়ছে।’
শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর বাজার উন্মুক্ত হলে শ্রমিকরা তিন বছরের চুক্তির বদলে পাঁচ বছরের চুক্তিতে যাবে। সব শ্রমিকই সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় যেতে পারবে। বাজার উন্মুক্ত হলে পর্যায়ক্রমে নিবন্ধনভুক্ত পাঁচ থেকে সাত লাখ জনশক্তি রফতানি করা সম্ভব হবে।’
শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বাজার উন্মুক্ত হলে প্রতিজন বাংলাদেশি শ্রমিকের ওই দেশে যেতে কোনোভাবেই ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রতারণা ঠেকাতে অভিবাসন আইনের সংশোধনী আনতে এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা এ মাসের মধ্যেই চুড়ান্ত করা হবে।’
মন্ত্রী জানান, চূড়ান্ত সংশোধনীতে অভিযুক্ত কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল সিকিউরিটির অর্থ বাতিলসহ জেল জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
২০০৭ ও ২০০৮ সালে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যায়। এদের বেশির ভাগেরই যাওয়ার প্রক্রিয়া ছিল অবৈধ। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ সম্মেলনে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।