তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘আগামীতে বিশ্বে আইসিটি সেক্টরে লিজেন্ড হবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে ২০২১ সালকে টার্গেট করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সময় এসেছে মেধাভিত্তিক অর্থনীতির ওপরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার।’
আজ শনিবার সকালে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের এক অভিজাত হোটেলে তিন দিনব্যাপী ‘তড়িৎ, কম্পিউটার কৌশল ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘নেক্সট আইসিটি লিডার কারা হবে? নেক্সট আইসিটি ডেস্টিনেশন কোথায়? আমরা বলছি, নেক্সট আইসিটি ডেস্টিনেশন হলো বাংলাদেশ। ২০২১ সালে আমরা কোথায় যাব তার একটা টার্গেট আমরা নিয়েছি এবং সেই টার্গেটকে সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখন সময় এসেছে মেধাভিত্তিক অর্থনীতির ওপরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার।’
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আজ থেকে ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৫৬ লাখ, এখন নয় কোটি ৬০ লাখ। আমাদের গভর্নমেন্টে কোনো ডিজিটাল সার্ভিসই ছিল না। এখন মোটামোটি প্রায় ৫০০ সার্ভিস আমরা করেছি।’
এ সময় আইটি সেক্টরে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইটি সেক্টরে কর্মসংস্থান বলে তেমন কিছুই ছিল না। এখন প্রায় ১০ লাখ ছেলে-মেয়ে কাজ করছে, ছয় লাখ ফ্রি-ল্যান্সার এবং আরো অন্যান্য সফওয়্যার, হার্ডওয়্যার ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে কাজ করছে।’
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকা ডিজিটাল হাইস্পিড কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে। আমাদের প্রায় তিন হাজার ৮০০টি ইউনিয়নে আমরা ফাইবার অপটিক ক্যাবল, হাইস্পিড ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন, প্রত্যেকটি ইঞ্চি মাটি ডিজিটাল হাইস্পিড কানেক্টিভিটির আওতায় আমরা ইনশা আল্লাহ নিয়ে আসব।’
এ ছাড়াও সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, চুয়েটের উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, আইইইই বাংলাদেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ প্রমুখ।