সঠিক সময়ে সঠিক মঞ্চে জ্বলে উঠলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। পরিসংখ্যানে সব ফরম্যাটেই তার ধারেকাছে বাংলাদেশের কেউ নেই। একমাত্র অপূর্ণতা ছিল দেশের সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলে সেঞ্চুরি না পাওয়া। আজ ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে সেই অপূর্ণতার অবসান হলো। দেশসেরা ওপেনারের ৬১ বলে অপরাজিত ১৪১* রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তারকাবহুল ঢাকাকে হারিয়ে কুমিল্লা কি পারবে তামিমের সেঞ্চুরিটা আরও স্মরণীয় করে রাখতে?
বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরের ফাইনালে আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা ডায়নামাইটস। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন এভিন লুইস। তবে এক বাউন্ডারিতে ৬ রানেই তিনি রুবেল হোসেনের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। হাত খুলে খেলতে থাকেন অপর ওপেনার তামিম ইকবাল। এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন ৮৯ রানের দারুণ জুটি। ৩০ বলে ২৪ রান করা এনামুল সাকিব আল হাসানের শিকার হন। উইকেটে এসেই রান-আউট হয়ে ফিরেন শামসুর (০)।
৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশসেরা ওপেনার। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিতে তামিম ইকবাল সময় নেন ৫০ বল। হাঁকান ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কা। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১০০ রানের জুটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তামিম ৬১ বলে ১০ চার ১১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৪১ রানে। বিপিএলে এটাই কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। ইমরুল খেলেন ২১ বলে ১৭ রানের ইনিংস।
বিপিএল ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত আছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিশেষ আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া দুটি দলই তারকাবহুল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে সরাসরি পৌঁছে গেছে ফাইনালে। আর ঢাকা ডায়নামাইটস এলিমিনেটরে চিটাগং ভাইকিংস আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।