অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে বিশেষ নিরীক্ষা করা হবে। আপনাদের বিপদে ফেলতে নয়, নির্ভার করতেই এ নিরীক্ষা হবে। যারা ঋণ নিয়েছে, তারা কারা। তারা যে ঋণপত্র খুলে মূলধনী যন্ত্র এনেছে, তা কোথায় বসিয়েছে, আমরা তা দেখব। তিনটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে আমরা কাজ শুরু করব। আমরা এমন একটা অবস্থানে নিয়ে আসতে চাই, যেখানে শুধু সততার বিজয় হবে, সবাই সত্য জানবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে এটা করা হবে।’
আজ বুধবার রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য দেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাপি ঋণ অবশ্যই একটা অপরাধ। শুধু আপনাদের জন্য না, পুরো দেশের জন্য। ঋণ নিয়ে তা পুরোপুরি ব্যবহার করতে না পারলে তা ব্যর্থতা। তবে দেখতে হবে কারা ব্যবসায়ী আর কারা অসাধু ব্যবসায়ী। অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় নেই। যারা সহায়তা (ব্যাংকার) করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি যেসব বিষয় ধারণা করতে পারছি, প্রকৃত সত্য চিত্র পেলে আমাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয়কে আমি ভালোভাবে চিনি। তিনি আতঙ্ক তৈরির জন্য কোনো কাজ করেননি। আমি এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য আসিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে আমি ব্যবসা করি। গ্রাহককে জেনেশুনে ঋণ দিতে হবে।’