বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বসুন্ধরা টিস্যুর উত্তরোত্তর চাহিদা বাড়ছে, তাই নয় বিদেশে রফতানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। আগে যেখানে একটি মেশিনে বসুন্ধরা টিস্যু তৈরি হতো, এখন সেখানে চারটি মেশিনে টিস্যু উৎপাদিত হচ্ছে।
বুধবার রাত নয়টায় চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরের উডল্যান্ড পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে বসুন্ধরা টিস্যু ট্রেড স্কিমে অংশগ্রহণকারী চট্টগ্রাম ও কাপ্তাইয়ের ৮০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ও প্রতিনিধিদের নিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ইনচার্জ ও ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার খন্দকার এম এ জলিল, বসুন্ধরা এক্সারসাইজ বুকের ইনচার্জ ইউসুফ আলী সরকার, বসুন্ধরা ডায়াপারের ইনচার্জ মিজানুর রহমান এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ইনচার্জ মোহাম্মদ হায়দার নাসির।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা গ্রুপের এরিয়া সেলস ম্যানেজার (টিস্যু প্রোডাক্টস) এমএম নাজমুল হাসান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের দুইজনকে ডায়মন্ড অব দ্য ইয়ার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে খন্দকার এমএ জলিল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভোক্তারা আমাদের হৃদয় (হার্ট)। তাই আমরা ভোক্তাদের সঙ্গে কখনো প্রতারণা করিনি, আগামী দিনেও করবো না।’
দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করাই বসুন্ধরা গ্রুপের লক্ষ্য উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মানের বসুন্ধরা ডায়াপার বাজারজাত করা হচ্ছে আমদানি করা ডায়াপারের অর্ধেক দামে।
বিক্রেতাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করে বসুন্ধরার মোনালিসা স্যানিটারি ন্যাপকিনে বিশেষ অফার দেওয়া হচ্ছে। সে সুযোগ গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আগামী মাসে স্বাস্থ্যকর বসুন্ধরা হ্যান্ড গ্লাভস বাজারে ছাড়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
ইউসুফ আলী সরকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখেছি, শিক্ষার্থীদের খাতা কেনার সময় কম পৃষ্ঠা ও নিম্নমানের কাগজ দিয়ে ঠকানো হচ্ছে। অন্যদিকে গুণে-মানে অনন্য হওয়ায় বসুন্ধরা নোটবুক ও এক্সারসাইজ বুক বাজার মাত করেছে। আমাদের খাতার পেছনে যে পৃষ্ঠাসংখ্যা ছাপানো হয়েছে ঠিক ততো পৃষ্ঠাই থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। আশা করি, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে বসুন্ধরার নোটবুক (খাতা) পৌঁছে যাবে। যেমনটি আমাদের টিস্যু পণ্য ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।’
রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার (আরএসএম) কাজী ইমদাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিস্ট্রিবিউটরদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা টিস্যুর ডিস্ট্রিবিউটর সালাম স্টোর্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সুমন।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা টিস্যু ট্রেড স্কিমে অংশগ্রহণকারী চট্টগ্রাম ও কাপ্তাইয়ের ৩ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে ৮০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ও প্রতিনিধি অংশ নেন। স্কিমের লক্ষ্যমাত্রার সফলতার ওপর ভিত্তি করে এসব প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন বিভাগে ৩, ২, ১ লাখ ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড পুরস্কার দেওয়া হয়।
আলোচনা শেষে কাপ্তাইয়ের কাসেম স্টোরের আবুল কাসেম বেস্ট ডিস্ট্রিবিউটর (পরিবেশক), মনজুরুল আলমকে বেস্ট সেলসম্যান, মেসার্স সাকুরা স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রমিতা চক্রবর্তীকে বেস্ট ট্রেডার্স পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে ৪৬ ইঞ্চি এলসিডি টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ডিনারসেটসহ ৬টি বিভাগে ৩০টি পুরস্কার দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পলি শারমিন, শিলা ও তুষার। যন্ত্রসংগীতে ছিলেন স্বরলিপি মিউজিশিয়ান টিমের সদস্য তুষার (কি-বোর্ড), সুমন (অক্টোপ্যাড), মুন (পারকিউশন), শিমুল (লিড গিটার) ও শাকিল (বেজ গিটার)। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সাউন্ডটাচের ইলিয়াস ইলু।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা টিস্যু মাত্র ২০ টাকায় ১৫০ শিটের হ্যান্ড টাওয়াল ও মাত্র ৫ টাকায় বিশ্বমানের ওয়েট টিস্যু বাজারে ছেড়েছে। ইতিমধ্যে বসুন্ধরা উন্নতমানের কাগজ দিয়ে জার্মান মেশিনে তৈরি বিশ্বমানের স্পাইরাল বাইন্ডিং ও সাধারণ খাতা প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কমমূল্যে সরবরাহ করছে। মোনালিসা স্যানিটারি ন্যাপকিন ও বসুন্ধরা বেবি ডায়াপার ইতিমধ্যে বাজারে মূল্য গুণগতমান ও সহজপ্রাপ্তিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
দেশব্যাপী ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে বসুন্ধরা টিস্যু সব ধরনের পণ্য এক ঝাঁক বিক্রয়কর্মীর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিয়েছে।