হজযাত্রায় ভর্তুকি প্রত্যাহার, পাকিস্তানে বিতর্ক

হজযাত্রায় ভর্তুকি প্রত্যাহার, পাকিস্তানে বিতর্ক

পাকিস্তানের হজযাত্রীদের জন্য ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে বিতর্কের মধ্যেই সে দেশের ধর্মমন্ত্রী নুরুল হক কাদরির বলেছেন, এই পদক্ষেপে সরকারি তহবিলের চারশ ৫০ কোটি টাকা বাঁচবে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফেডারাল ক্যাবিনেট বৈঠকে হজে সরকারি ভর্তুকি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কাদরিকে উদ্ধৃত করে দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের সরকার হজযাত্রীদের মাথাপিছু ৪২ হাজার টাকা দিত। যার ফলে জাতীয় কোষাগারের ওপর বাড়তি চারশ ৫০ কোটি টাকার বোঝা চেপে যেত। দেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ফেডারাল ক্যাবিনেট সেই ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাদরি জানান, চলতি বছর এক লাখ ৮৪ হাজার পাকিস্তানি হজে যাবেন। তাদের মধ্যে এক লাখ সাত হাজার লোক সরকারি ভর্তুকি নিচ্ছেন। বাকিরা যাচ্ছেন বেসরকারি কোটায়।

কাদরি আরো বলেন, সরকার হজযাত্রীদের ভর্তুকি হিসেবে দেয়া চারশ ৫০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে নিয়েছে। এবার হজযাত্রার ব্যয় বেড়েছে মূলত টাকার অবমূল্যায়ন ও সৌদি সরকারের চাপানো ভ্যাটের জন্য।

তিনি আরো বলেন, মার্কিন ডলারের মাপকাঠিতে বিচার করলে পাকিস্তানেই হজযাত্রার ব্যয় সবচেয়ে কম। ভারত, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ডলারের হিসেবে খরচ বেশি।

পাকিস্তানে হজযাত্রার খরচ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ফলে প্রতি যাত্রীকে বাড়তি ব্যয় করতে হবে এক লাখ ৫৬ হাজারা টাকা পর্যন্ত। পাক বিরোধী দলগুলোর নেতারা ইমরান সরকারের ভর্তুকি তুলে হজযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

আন্তর্জাতিক