ভাষা ও সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনকে ২০১৯ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পদকপ্রাপ্তদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে।
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বাংলাদেশের একজন কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার। তিনি গল্প, উপন্যাস এবং নাটক এই তিন শাখাতেই জনপ্রিয় রচনা উপহার দিয়েছেন। কিশোর বাংলা নামীয় পত্রিকায় শিশুতোষ গল্প লিখে তার সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ। ১৯৭৭ খৃস্টাব্দে সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায় ‘সজনী’ নামে একটি ছোট গল্প লিখে পাঠকের দৃষ্টি আর্কষণ করতে শুরু করেন।
ইমদাদুল হক মিলন ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের লৌহজং থানার পয়সা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গিয়াসুদ্দিন খান এবং মার নাম আনোয়ারা বেগম। তিনি ১৯৭২ সালে লৌহজং উপজেলার কাজীর পাগলা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৪ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৭৯ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকেই স্নাতক (সম্মান) সম্পূর্ণ করেন।
তিনি লেখক হিসেবে এপার-ওপার দুই বাংলায়ই তুমুল জনপ্রিয়। দুই বাংলায়ই তার ‘নূরজাহান’ উপন্যাসটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
একুশে পদক ২০১৯ পেলেন যারা
ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপক হালিমা খাতুন, অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিল্পকলায় (সংগীত) সুবীর নন্দী, মরহুম আজম খান, খায়রুল আলম শাকিল।
শিল্পকলায় (অভিনয়) লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা, লিয়াকত আলী লাকী। শিল্পকলায় (আলোকচিত্র) সাইদা খানম ও শিল্পকলায় (চারুকলা) জামাল উদ্দিন আহমেদ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য, গবেষণায় ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড. মাহবুবুল আলম শাকিল, শিক্ষায় ডক্টর প্রণব কুমার বড়ুয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ভাষা ও সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দা হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস মনোনীত হয়েছেন।