অর্থনীতিকে সংহতকরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তার জন্য ভারতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতার নীতি অবলম্বন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীর গতির কারণে সরকার উদ্বিগ্ন। আর এ ইস্যু মোকাবিলা করতে সরকার নানা পদক্ষেপও নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা রপির দামের রেকর্ড পতনের পর অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ব্যয় সঙ্কোচনের কথা বললেন। আর একারণে বিশ্ব মুদ্রা বাজারে রুপির অবস্থান আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। অবশ্য ইতোমধ্যেই বাজেট এবং চলতি অ্যাকউন্ট ঘাটতির কারণে মুদ্রা বাজারে রুপি বাজে অবস্থায় রয়েছে যার ফলে দেশের অথনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা রাজ্যসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রণব আরো বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির অবস্থা আগের মতোই আছে। সেই সঙ্গে ইউরোজোন সঙ্কট এশিয়ার বাজারে প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সর্বশেষ ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ৪৬ রুপি। অথচ গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৫৪ দশমিক ৩০ রুপি। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় সম্প্রতি রুপির দাম পড়েছে ১০ শতাংশ।
রুপির ধারাবাহিক দরপনের কারণ হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা নীতি, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সরকারের নীতি নির্ধারণে অচলাবস্থাসহ ব্যাংকিং নীতি এবং মুদ্রা বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার হস্তক্ষেপ- এসব কারণকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কর আরোপের সরকারি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় রুপির দাম পড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) রুপির মূল্যপতন রোধে যতোই চেষ্টা করুক তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।