বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের প্রথম সাক্ষাতে এ আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন একজন আত্মস্বীকৃত খুনি বাংলাদেশে থাকলে তাকে ফেরত পেতে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এ দেশকে অনেক চাপে রাখতো। এ বিষয়টি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের এ প্রত্যাশার বিষয়টি ওয়াশিংটনে তাঁর প্রশাসনকে অবহিত করবেন।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই ছিল তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। তবে ভোটের দিন ফলাফলের প্রাক্কালে সিলেটে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন দেখলে আমরা খুশি হবো।
মিলার বলেন, ‘আমরা সুশাসন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অংশীদারি, সামরিক ক্রয়, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরো জোরালো করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কারো কারো অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, যাদের অভিযোগ আছে, তারা নির্বাচন কমিশনে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সামরিক সরঞ্জাম কিনলে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনার কথা বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম বেশ ব্যয়বহুল। বাংলাদেশ তুলনামূলক সাশ্রয়ী সরঞ্জাম খোঁজে।