আগামীকাল ০১ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রকাশনা সংস্থাগুলো। মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে এসে ডিএমপি কমিশনার জানালেন, মেলার নিরাপত্তায় কোনো কমতি রাখা হয়নি। আর অনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জানালেন, এবারের মেলা হবে পাঠকবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন।
মেলার নিরাপত্তার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে ঢাকা মহানগরীর পুলিশ প্রধান বললেন, লেখক ও ব্লগাররা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা পাবেন। তিনি বলেন, লেখক প্রকাশক ব্লগার যদি মনে করেন তাদের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন তখন আমরা সেই ধরনের ব্যক্তিদেরকেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ধর্মীয় উস্কানিমূলক কোনো বই এই বইমেলাতে বিপণন করা যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। প্রাণের মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের বইঘরগলোতে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে টুকটাক কাজ।
এবারের বইমেলাকে নতুনভাবে বিন্যাস করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিসর বাড়িয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলামেলা পরিবেশ, প্রযুক্তিগত নানা সুবিধা, বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুপ্রহরেও থাকছে বেশি আয়োজন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, মেলার বিন্যাসে দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্ধোধন করবেন। বিকেল পাঁচটার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে গ্রন্থমেলা। প্রতিদিন ৩টায় শুরু হয়ে খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে, রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না।