প্রশ্নপত্র আর ফাঁস হবে না, হলে সেটা গুজব: শিক্ষামন্ত্রী

প্রশ্নপত্র আর ফাঁস হবে না, হলে সেটা গুজব: শিক্ষামন্ত্রী

গুজবে কান দিবেন না। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। হলে সেটা গুজব বলে ধরে নেবেন। বললেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বছরের পদ্ধতির কারণে কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এ বছরও আমরা সেই পদ্ধতিটিকে আরও জোরদার করেছি। কাজেই আমরা আশা করছি যে, এ বছর কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না।

দীপু মনি বলেন, কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলে তা হবে গুজব। গুজবে কোনও অভিভাবক ও কোনও পরীক্ষার্থী কান দিবেন না।

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেটকোড জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যতীত অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। এরমধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র। দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসবেন। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৪৩৪ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

এবারও বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে বলে জানান দীপু মনি।

এছাড়া অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবেন বলেও জানান দীপু মনি।

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ২২ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করলেও এদের মধ্যে এবার ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ জন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এই হিসেবে নিবন্ধন করেও পরীক্ষায় বসছেন না ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর