শেষ হলো সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শুরু করা দুর্নীতিবিরোধী অভিযান। আর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচালিত এ অভিযানে জরিমানা হিসেবে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এর মধ্যে নগদ অর্থ ও সম্পত্তি রয়েছে। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শেষ হয়েছে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে এ অভিযান শুরু করেন কাউন প্রিন্স। এ সময় দেশটির কয়েক শ প্রিন্স, ধনকুবের ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় করা হয়। ধৃতদের মধ্যে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন ৮৭ জন। তাদের সঙ্গে ফয়সালার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হয়েছে। ফয়সালায় রাজি হননি অন্য ৮ জন। পরে তাদের সরকারি কৌঁসুলির জিম্মায় দেওয়া হয়। আর অভিযোগ সাব্যস্ত না হওয়ায় অপর ৫৬টি মামলার নিষ্পত্তি এখনো বাকি আছে।
অভিজাতদের বিরুদ্ধে মূলত অভিযান শুরু হয়। ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়। দুইশরও বেশি প্রিন্স, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এদের অনেককে রাজধানী রিয়াদের বিভিন্ন হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়। এসব হোটেলের মধ্যে পাঁচ তারকা রিজ-কার্লটন হোটেলেও ছিল।
এ ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসে প্রিন্স সালমান। তবে অভিযান চলাকালীন গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে খ্যাতিমান সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজি খুন হন। এর ঘটনায় ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়েন তিনি।