যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পকেট ভারি করার ধান্ধা নিয়ে আসিনি। সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবো। অফিস টাইমের বাইরেও অফিসার-কর্মচারীদের কাজ করতে হবে। সরকারের দু’ বছর মেয়াদ থাকলেও কাজ করার সময় দেড় বছর। কারণ ছয় মাস আগেই নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়ে যাবে। সামনে পথ অনেক, পেট্রোল কম। সময় ও অর্থের সীমাবদ্ধতা নিয়েই পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
সড়ক বিভাগ ও সেতু বিভাগ নিয়ে গঠিত যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বুধবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্প আমার প্রথম অগ্রাধিকার। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যে সমস্যা রয়েছে তা কেটে যাবে। তবে আমরা কাজ শেষ করতে পারবো না। শুরু করতে পারবো। সরকার চলমান। আগামীতে যারা আসবেন তারা শেষ করবেন। পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা এবং সড়ক উন্নয়নের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ কমানো আমার প্রধান লক্ষ্য। দু’টো কাজই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কি করে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশের স্বার্থে কাজ করবেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না। অপেক্ষা করুন আর দেখুন। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয় দলীয় অফিস হবে না। এটা দেশের সরকারের অফিস। আমি দলীয় সরকারের মন্ত্রী। কিন্তু দলের মন্ত্রী নই। আমার কথায় ও কাজে মিল আছে কিনা আগামীতে দেখবেন।
যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, সংস্থা প্রধানরা এতে অংশ নেন। তিনি টিম স্পিরিট নিয়ে আঠারো মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, কেউ যেন না বলতে পারে যে, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য কাজ করছি। ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার তার নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। মেঘনা সেতু, গোমতী-মেঘনা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি তিনি প্রত্যক্ষ করবেন। সফরকে কেন্দ্র করে রাস্তায় তোরণ, ব্যানার, হোন্ডা মিছিল ও সংবর্ধনার আয়োজন না করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নোয়াখালী যেতে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়। এখন ১২-১৩ ঘণ্টা লাগে। সংবর্ধনার নামে জনভোগান্তি দেবেন না।