প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজেদের মন্ত্রণালয়ে পেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গেলে এ দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের (এও, পিও এবং এসিও) অ্যাটাশে পদমর্যাদা প্রদান। অন্যান্য সব মন্ত্রণালয়ের মতো সহকারী সচিবের এন্ট্রি পদের বিপরীতে এক-তৃতীয়াংশ পদ ফিডার পদে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা থেকে পদোন্নতি প্রদান।
মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের (এও, পিও এবং এসিও) পাথেয়সহ স্বদেশভিত্তিক (হোমলিভ) ছুটি প্রদান। মিশনের সব স্থানীয় পদগুলোর বিপরীতে উপযুক্ত ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলীর ব্যবস্থা গ্রহণসহ বৈদিশেক ভাতা বৃদ্ধিকরণ এবং মিশনে অতিরিক্ত সময়ে কাজের জন্য অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা।
মিশনে কর্মরত দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তা ও তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এবং তাদের নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের নামে অফিসিয়াল পাসপোর্ট প্রদান।
মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সব দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তা ও তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অফিসে আসা-যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটে তিনটি মিনিবাস সরবরাহের দাবিও জানানো হয়।
এ দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় দীপু মনি বলেন, ‘এ মন্ত্রণালয় আপনার, এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই আপনার। তাই আমাদের দিক থেকে কোনো দাবি উত্থাপন করতে চাইনা। তবে আপনার জ্ঞাতার্থে এসব জানাচ্ছি।’
দীপু মনি এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানান, বিগত তিন বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ও মিশনগুলোর গুণগত কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য সুদুরপ্রসারী ব্যবস্থা আপনি (প্রধানমন্ত্রী) গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে দুই ধাপে আঠারোটি মিশন ও সাব মিশন প্রতিষ্ঠা, দূতাবাসে কর্মরতদের বৈদেশিক ভাতা ইউএন ইনডেক্সভুক্ত করে উচ্চহারে বৃদ্ধি, শিক্ষাভাতা সুষমকরণ ও বৃদ্ধি ইত্যাদি।
এসব দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা হবে। কিন্তু যে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে আপনাদের বেতনভাতা দেওয়া হয়, তাদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি আপনাদের যত্নবান হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার পুরো বক্তব্যের সময় বেশ কয়েকবারই প্রবাসীদের কষ্ট, সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে আমাদের অর্থনীতির বড় অংশই পরিচালিত হয়।’