আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় যাতে কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁস কিংবা ভুয়া প্রশ্ন ছড়াতে না পারে সেজন্য সাইবার দুনিয়ায় নজরদারি শুরু করেছে র্যাব। এ ছাড়া এই অপতৎপরতা বন্ধে আন্ডারকাভার অপারেশন চালাবে তারা। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস রোধে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে র্যাব। সাইবার পেট্রোলিং চলছে, চালানো হবে আন্ডারকাভার অপারেশন। ইতোমধ্যে র্যাব কার্যক্রম শুরু করেছে। ২/১ দিনের মধ্যে ফলাফল পাবেন আপনারা।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের উদ্দেশে বলব, আপনারা প্রশ্নপত্রের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করবেন না। শিক্ষকদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন না। শিক্ষার্থীদের বলছি, কেউ যদি এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে তাহলে তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করব। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করলে তাদের শিক্ষাজীবন বিনষ্ট হয়ে যাবে, আমরা এমনটা করতে চাই না। তাই তাদের এসব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, র্যাব সদস্যরা প্রতিটি পরীক্ষা হলে পরিদর্শন করবেন। অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে সেগুলো নিয়ে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে র্যাবের অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীর সমন্বয়ের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং অ্যাপস সবকিছুতেই খেয়াল রাখার সক্ষমতা রয়েছে র্যাবের। গত বছর প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত ঘটনায় ১২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বছর একইভাবে অভিযান চলবে।’
এ সময় ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। কেউ যদি ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সে ক্ষেত্রে তাকেও ধরা হবে। এটাও জঘন্য অপরাধ। এ ধরনের প্রতারণাকারী শিক্ষক-ছাত্র কিংবা দাগী অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। দু-একদিনের মধ্যেই আপনারা রেজাল্ট দেখবেন।’
উল্লেখ্য, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।