প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের তরফ থেকে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হলো ১০ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি।
এই অনুদান গ্রহণ করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী জানান, এবার প্রতীক্ষা কবে দিল্লি থেকে সমপরিমাণ অনুদান আসবে।
‘দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তাতে প্রস্তাব ছিল যে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়েই ১০ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি অনুদান হিসেবে দেবেন এই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।আশা করি, দিল্লি থেকে, আমরা এই অনুদান তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব।’ জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
বাংলাদেশ উপ হাই কমিশন এর তরফ থেকে এই অনুদান তুলে দেন উপ হাই কমিশনার তৌফিক হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন দুই কাউন্সেলর বিএম জামাল হোসেন এবং মনসুর আহমেদ এবং প্রথম সেক্রেটারি (প্রেস ) মফাখখরুল ইকবাল।
বিশ্বভারতীর তরফ থেকে জানানো হয়, প্রতি তিন মাসে প্রায় দু লক্ষ পঁচিশ হাজার ইন্ডিয়ান রুপি খরচ হচ্ছে এই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
‘ভারত এবং বাংলাদেশ সরকার এর অনুদান আমরা জমা রেখে, তার সুদের টাকাতেই এই ভবন এর রক্ষণাবেক্ষণ চালাব।’ বলেছেন বিদ্যুত চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ সরকার এর তরফে জনাব তৌফিক জানান, তারা চান বাংলাদেশ ভবন দুই দেশ এর সাংস্কৃতিক মেল বন্ধনের প্রক্রিয়াকে আরও সমৃদ্ধ করুক।
‘এখানে গ্রন্থাগার এবং সংগ্রহশালাতে দুই বাংলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে অনেক বই এবং ছবি আছে। … আমরা চাই, মানুষ যাতে এই বিষয়গুল নিয়ে আরও জানতে পারে।’ বলেন তৌফিক হাসান।