‘পাইলটের ধূমপান নয়, মনিটরিংয়ের অভাবেই দুর্ঘটনা’

‘পাইলটের ধূমপান নয়, মনিটরিংয়ের অভাবেই দুর্ঘটনা’

নেপালের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবেই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।

সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, পাইলটের ধূমপানই এই দুর্ঘটনার একমাত্র কারণ নয়।

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাইলট মানসিকভাবে হতাশ ছিল এটা সত্য। তিনি কয়েকটি ভুল করেছেন। কিন্তু পাইলটের ভুলভ্রান্তি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল শোধরাতে পারতো।

নেপালী তদন্ত কমিশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তদন্ত রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওই তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট বিষয়ে বলা হয়, নেপাল তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে কোন মিথ্যাচার নেই। তবে নেপাল ত্রিভুবন এয়ারপোর্টের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভূমিকা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ১২ই মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫১। এর মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা নাগরিক।

উড়োজাহাজটিতে থাকা ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশী, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রীর পাশাপাশি ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

দুর্ঘটনায় প্রথমেই মৃত্যু হয় ওই ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট পৃথুলা রশিদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদকে। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যাপ্টেন আবিদও মারা যান।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর