বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছিলেন মার্কিন নাগরিক রবার্ট মায়রন বার্কার (৭৮)। এরপর তাঁর মৃত্যু হলে মৃতদেহ সৎকারের কোনো উপায় না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁর বাংলাদেশি স্ত্রী। তাঁর লাশ রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে। বিষয়টির সুরাহা করতে পারেনি বাংলাদেশের পুলিশও।
২০১৮ সালের ২৫ মে অসুস্থ হয়ে মারা যান রবার্ট। এরপর গত আট মাস ধরে তার লাশ পড়ে আছে ঢামেকের মর্গে, কেউ তার খোঁজ নিতেও আসেনি। বংলাদেশে থাকা স্ত্রী মাজেদা বেগম(৫৫) লাশের কোনো কূল-কিনারা করতে পারছেন না।
রবার্টের বাংলাদেশি স্ত্রী মাজেদা দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসে খোঁজ-খবর নিয়েও কোনো সমাধান করতে পারেননি। এদিকে পরিচয় জানা থাকায় বেওয়ারিশ হিসেবেও সৎকার করা সম্ভব হচ্ছে না।
দক্ষিণখান থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবার্ট মারা যাওয়ার পর আমরা থানায় একটি জিডি করি। সুরতাহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় এই দেশে তার লাশ সৎকার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া দূতাবাসেরও ছাড়পত্র প্রয়োজন। সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।
মাজেদা উত্তরা কমিউনিটি হাসপাতালে আয়া পদে চাকরি করতেন। প্রায় ১১ বছর আগে ওই হাসপাতালে রোগী হিসেবে আসনে রবার্ট। সেখানে পরিচয়ের পর রবার্টের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল খ্রিষ্টান ধর্মমতে রাজধানী বাড্ডার একটি চার্চে গিয়ে বিয়ে হয়।
রবার্ট কোন সংস্থায় কাজ করতেন জানাতে পারননি মাজেদা। তবে আমেরিকায় তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে বলে জানান তিনি। রবার্টের মৃত্যুর সংবাদ যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারে জানানোর চেষ্টা করেও জানানো সম্ভব হয়নি।
দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মাজেদা কাছ থেকে অরিজিনাল পাসর্পোট রেখে দেন এখন সেটাও ফেরত দিচ্ছে না। ফলে তার মৃতদেহ কী করা হবে সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কেউই।