অনুপমের গানে মডেল মেহজাবীন

অনুপমের গানে মডেল মেহজাবীন

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অনুপমের গাওয়া যে গানে বাংলাদেশের শ্রোতারা সর্বশেষ বুঁদ হয়েছেন, তার শিরোনাম ‘দুমুঠো বিকেল’। জয়া আহসান প্রযোজিত ‘দেবী’ সিনেমায় গানটি ব্যবহার করা হয়। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির কথা লিখেছেন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। এভাবেই গান নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন এই সংগীতকর্মী। কিন্তু এবার দেখা গেল ব্যতিক্রম। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ থেকে অনুপম রায়ের গাওয়া নতুন একটি গান প্রকাশিত হয়েছে। গানটির শিরোনাম ‘পারছি তো খুব’। এর কথা লিখেছেন ওমর ফারুক বিশাল আর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন রবিন ইসলাম। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত গানটি জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা হয়েছে ৬২ হাজার ৭৩৪ বার।

গত বছর কোরবানির ঈদের আগে কলকাতার লেক টাউনের একটি স্টুডিওতে ‘পারছি তো খুব’ গানের রেকর্ডিং করা হয়। গানটির পরিচালক জুয়েল রানার ‘ময়ূরাক্ষী তোমায় দিলাম’ নাটকের জন্য তৈরি করা হয়। অনুপমের গাওয়া এই গানে মডেল হিসেবে দেখা গেছে মেহজাবীন আর জনিকে।

Eprothom Aloগানটি প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয় অনুপম রায়ের সঙ্গে। কলকাতা থেকে আজ সকালে মুঠোফোনে অনুপম রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কিন্তু কোনো কিছু ভেবে গানটি করিনি। আমি পেশাদার একজন শিল্পী, গান গাওয়া আমার কাজ। গানটি গাওয়ার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আমি গেয়ে দিয়েছি। আমি এই গানের সুর করিনি, কথা লিখিনি। নাটক কিংবা সিনেমায় গান গাওয়ার ব্যাপারটা আসলে কম পরিশ্রমের কাজ। আমার মতে, অল্প পরিশ্রম করেই নাটক কিংবা সিনেমায় গান গাওয়া যায়। একজন সুর করেন, অন্যজন সংগীত পরিচালনা করেন, আমার নিজের কিছুই করতে হয় না। শুধু স্টুডিওতে গিয়ে গানটি গেয়ে দিই। সুতরাং মজাই লাগে। আমি মজা নিয়ে গানটি গেয়েছি। তবে নাটক কিংবা সিনেমায় গান গাওয়া আমার অ্যামবিশন না।’

অ্যামবিশনটা তাহলে কী? অনুপম বলেন, ‘এটা সবাই জানেন, আমি পেশায় প্রকৌশলী ছিলাম, বেঙ্গালুরুতে চাকরি করতাম। সবকিছু ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় এসেছি শুধু গান গাইতে। নিজের জন্য গানবাজনা করতে। প্লেব্যাক কিংবা অন্যের সুরে গাওয়া— কোনোটিই আমার ভাবনার মধ্যে নেই। এখন আমার একটু জনপ্রিয়তা হয়েছে, মানুষ এই জনপ্রিয়তা ব্যবহারের চেষ্টা করে। মোটেও নাটক কিংবা সিনেমায় গাওয়া আমার অ্যামবিশন নয়। আমার অ্যামবিশন হচ্ছে, নিজে গান তৈরি করা, নিজের গান নিজে গাওয়া অথবা অন্যদের দিয়ে গাওয়ানো।’

বিনোদন