আবারো ব্যাপক পরিমাণ শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় রেল। ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল গত বুধবার আবারো ২ লাখ ৩২ হাজার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা ঘোষণা করেছেন।
২০১৮ সালের চাকরির পরীক্ষায় রেল বেকারদের কাছ থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যখন রেল প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা করে, তখন প্রায় দুই কোটি ৩৭ লাখ প্রার্থী আবেদন জমা দেন।
সম্প্রতি আরটিআই-এর উত্তরে জানা গেছে, এই পরীক্ষার জন্য আবেদন মূল্য হিসেবে রেল প্রায় ৯০০ কোটি টাকা রোজগার করেছে।
ভোপালের আরটিআই কর্মী ডা. প্রকাশ অগ্রবাল বলেন, রেল স্বীকার করে নিয়েছে যে আবেদনের টাকা হিসেবে ১ লাখ ২৭ হাজার প্রার্থীর থেকে ৯০০ কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে। এর মধ্য থেকেই পরীক্ষায় উপস্থিত হতে না পারা প্রার্থীদের টাকা অবশ্য ফেরত দিয়েছে রেল।
আসলে রেল পরীক্ষার আবেদনের মূল্যের দু’টি বিভাগ রেখেছিল। সাধারণ এবং সংরক্ষিত বিভাগ। সাধারণ শ্রেণির প্রার্থীদের থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়, যার মধ্য থেকে যারা পরীক্ষায় বসতে না পারা ব্যক্তিদের ৪০০ টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়। অন্যদিকে সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য ২৫০ টাকা করে আবেদনের মূল্য নেওয়া হয় এবং পরীক্ষায় অনুপস্থিতদের এই পুরো টাকাই তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে বোর্ডের সাবেক সদস্য সুবোধ জৈন জানান, পরীক্ষার আবেদনপত্রের জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করার নেপথ্যের কারণ হলো মূলত দুটি। প্রথমত, এই সূত্রে জমা হওয়া বিপুল অর্থের সাহায্যে পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। দ্বিতীয়ত, পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর রাস্তাটি বন্ধ করা। পরীক্ষার আবেদন মূল্য ফেরত দেয়ার পরেও ৮৮৭ কোটি টাকার থেকে রেলের মোট রোজগার হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা।
তিনি আরো জানান, ২ কোটি ৩৭ লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যেও সাধারণ ও সংরক্ষিত শ্রেণির মোট ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার প্রার্থী পরীক্ষা দিতেই আসেননি। তাই তাদের পুরো টাকাই রেলের অ্যাকাউন্টে গেছে।
রেল সূত্র অনুযায়ী, পরীক্ষা না দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই সাধারণ শ্রেণির। যাদের কাছ থেকে রেল ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। সুতরাং এই বিভাগ থেকে আয় হয়েছে ২৫১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।