দীর্ঘ দ্বন্দ্বের পর গত বছর জুনে আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিঙ্গাপুরের সেই ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আশ্বাসও দিয়েছিলেন উত্তর কিম। ফেব্রুয়ারির শেষে আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাদের।
কিন্তু এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বোমা মার্কিন সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দাবি করেছে, প্রথম বৈঠকে নিজেদের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কথা প্রকাশ করেনি পিয়ংইয়ং। যার মধ্যে এখনও সক্রিয় একটি ঘাঁটি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেছে সিএসআইএস।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক নিয়েও তিনি সমান আশাবাদী।
কিন্তু ওই রিপোর্টে উত্তর কোরিয়ার যে পরমাণু ঘাঁটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সেটির অবস্থান দুই কোরিয়ার বেসামরিক ক্ষেত্র থেকে ২১২ কিলোমিটার দূরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৮ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে তৈরি ওই এলাকাটি পিয়ংইয়ং-এর ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রাণকেন্দ্র। যে কোনও দেশের একটি সেনা ঘাঁটির সমান বড় এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে এনডং-১ নামে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাখা রয়েছে।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এমনকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গুয়াম (যা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া সম্ভব ওই ঘাঁটি থেকে।
সিএসআইএসের দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সময় এমন প্রায় ২০টি ঘাঁটির কথা জানাননি কিম।
তবে এই রিপোর্টের বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি।