‘মুক্তিযোদ্ধারা আইডি কার্ড ও ১৬ হাজার বাড়ি পাবেন’

‘মুক্তিযোদ্ধারা আইডি কার্ড ও ১৬ হাজার বাড়ি পাবেন’

আসছে ২৬ মার্চের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) পাবেন। আর এ বছরের মধ্যেই সারাদেশে ১৬ হাজার বাড়ি দেওয়া হবে মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রত্যেকটি বাড়ির আয়তন হবে ৮০০ স্কয়ারফিট। এছাড়া জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ সুবিধা শিগগিরই ছাড় করবে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান। সাবেক বিচারপতি মুনসুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আব্দুল ওয়াদুদদ ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ফাউ-েশনের উপদেষ্টা মিনহাজ উদ্দিন এম কামাল। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউদ্দিন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, পরিচয়পত্র দেখিয়ে সচিবালয় থেকে শুরু করে যে কোনো অফিসে ঢুকতে পারবেন মুক্তিযোদ্ধারা। সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারীরা মুক্তিযোদ্ধা কার্ডধারীদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সম্মানের সঙ্গে বসার ব্যবস্থা করবেন। সরকারি পরিবহনে এই কার্ড দেখিয়ে বিনামুল্যে ভ্রমণ করা যাবে। হাসপাতালে বিনামুল্যে চিকিৎসা নেওয়া যাবে। এই তালিকায় পাঁচশ বীরাঙ্গনাও আইডি কার্ড পাচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজটভুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বিতর্কিতরা আপাতত এই কার্ড পাবেন না। এই কারণে কিছু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাও হয়তো সাময়িক সমস্যায় পড়বেন, তবে তাদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আগামি বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের বিদ্যমান মাসিক ১০ হাজার টাকার ভাতা বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামি বাজেটে যৌক্তিক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো হবে। পেনশন দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুর পরও তার পরিবার এই সুবিধা পান। এটাও তো পেন সুবিধার মতোই। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি করা রেশন সুবিধার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জানাননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে সব দাবি করেছেন তার কোনোটাই অযৌক্তিক নয়। পর্যায়ক্রমে সব দাবিই পূরণ করা হবে।

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের হজ্জ পালনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনের আগে আমি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বলেছি প্রত্যেক জেলা থেকে অসচ্ছল, শারিরীকভাবে সক্ষম ও আগে হজ করেননি এমন একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি খরচে হজে পাঠাতে হবে। উপরের তিনটি শর্তপূরণকারী যারা আবেদন করবেন তাদের মধ্য থেকে জেলাওয়ারি একজনকে লটারির মাধ্যমে বাছাই করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল ওয়াদুদদ বলেন, আমি সারা দেশ ঘুরে প্রায় পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছি ৯৬ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা অসচ্ছল জীবন যাপন করেন। ৯৯ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ। এদের জন্য যে পর্যায়ের সেবা দরকার তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরেক অতিথি মিনহাজ উদ্দিন এম কামাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রাজাকার ঢুকে গেছে, রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর