পরীক্ষার আগে অনৈতিক পথের খোঁজ করবেন না : শিক্ষামন্ত্রী

পরীক্ষার আগে অনৈতিক পথের খোঁজ করবেন না : শিক্ষামন্ত্রী

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তার আগে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষার আগে আপনারা কোনো ধরনের অনৈতিক পথের খোঁজে নামবেন না। পরীক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পড়াশোনা করবে, ঠিকভাবে পরীক্ষা দেবে, ভালো ফলাফল করবে। সেটিই আমরা চাই।

আজ মঙ্গলবার সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ৪৮তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন

তিনি আরো বলেন, অনৈতিকতার পথে হেঁটে কখনো ভালো ফল পাওয়া যায় না। আমরা চেষ্টা করব কোনোভাবেই যেন কোনো দুর্বৃত্ত এ প্রক্রিয়ায় এটিকে নষ্ট করবার কোনো অপচেষ্টা চালাতে না পারে। একই ভাবে যদি প্রশ্নপত্র পাওয়ার ব্যাপারে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের একাংশেরও বিশাল আগ্রহ না থাকে, চেষ্টা না থাকে পাবার তবে অপকর্মটি যারা করে তাদের সেই চেষ্টা থাকবে না। কারণ তারা লাভবান হতে পারবে না। কাজেই করণীয় আছে সকলেরই। সবাই মিলে এ প্রক্রিয়াটি সুন্দর, সফল ও ত্রুটিমুক্ত করতে চাই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মূল কথা শিশুর অফুরন্ত সম্ভাবনা তুলে ধরা। সবাই মিলে চেষ্টা করবে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে। তারা যেন উদ্যমী হয়।

দীপু মনি বলেন, আমরা সব সময় ভাবি ক্লাসে কী করে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হব। সেটি নিশ্চয় জরুরি। ভালো করা নিশ্চয় জরুরি। জিপিএ-৫ পাওয়া জরুরি। কিন্তু সেটিই একমাত্র বিষয় হতে পারে না। আমি ভালো মানুষ হলাম কি না। আমার মধ্যে মানবিকতাবোধ, আমার মধ্যে নৈতিকতা সেগুলো ঠিকমতো আছে কি না। আমি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠলাম কি না। সুস্থ, সুন্দর মন নিয়ে বড় হচ্ছি কিনা সেটি কিন্তু জরুরি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ করতে হলে আমাদের সুনাগরিক লাগবে, সোনার মানুষ লাগবে। এর জন্য শুধু জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র পথ হতে পারে না। তার সঙ্গে সুস্থ মানুষ চাই। যে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি বিশ্বস্ত হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হবে, দেশ, পরিবেশ ও মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে তেমন মানুষ গড়ে তুলতে চাই।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে চাই। আমরা শিক্ষার মানে মনোযোগী হয়েছি। সেই জন্য মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। এক্ষেত্রে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমাদের জনসংখ্যার চাপ আছে, খেলার মাঠের অভাব আছে। আমাদের মেয়েরা এখন বিশ্ব মাত করছে। ছেলেরাও তা পারবে। বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। শারীরিক, মানসিক, আত্মিক বিকাশের দিকে, পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান। চৌধুরী

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর